২৯ অগাস্ট, ২০১৯ ১২:২৩:৪১
ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার ঘোষণা করা হবে আজ। ফ্রান্সের মোনাকোতে কার হাতে উঠবে মর্যাদাপূর্ণ এই খেতাব? তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি, জুভেন্টাসের পর্তুগিজ উইঙ্গার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইক। ২০১১ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এখন পর্যন্ত সর্বাধিক তিনবার জিতেছেন রোনালদো (২০১৪, ২০১৬, ২০১৭)। প্রত্যেকবারই রিয়ালের জার্সিতে। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী মেসি জিতেছেন দুবার (২০১১, ২০১৫)। তবে গত বছর মেসি-রোনালদোকে পেছনে ফেলে উয়েফার বর্ষসেরা খেতাব জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদরিচ। উয়েফার অ্যাওয়ার্ডে ক্লাব ও জাতীয় দলের পারফরম্যান্স দুটোই হিসাবে ধরা হয়।
মেসি-রোনালদো-ভ্যান ডাইক তিন জনেরই গত দারুণ মৌসুম দারুণ কেটেছে। মেসি ঘরোয়া ডাবল জেতেন বার্সার হয়ে। রোনালদো জুভেন্টাসকে টানা অষ্টমবারের মতো সিরি আ শিরোপা জেতাতে সহযোগিতা করেন। আর ভ্যান ডাইক লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতাতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ফলে ডিফেন্ডার হিসেবে প্রথমবার উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে সেরা তিনে উঠে আসেন ভ্যান ডাইক। তিন জনের মধ্যে কেবল রোনালদো জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য পান। ভ্যান ডাইকের নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে তার দল জেতে উয়েফা নেশন্স লীগ। গত মৌসুমে মেসি-রোনালদো-ভ্যান ডাইকের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কেমন ছিল, তা দেখে নেয়া যাক। ৩১শে জুলাই ২০১৮ থেকে ৩১ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৫৪ গোল করেছেন মেসি। যেখানে রোনালদোর মোট গোল ৩১টি। প্রতি ৮৬ মিনিটে একটি গোল করেছেন মেসি।
রোনালদো প্রতি এক গোলের জন্য খেলেছেন ১২৭ মিনিট। অন্যদিকে ভ্যান ডাইককে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে টানা ৪৯ ম্যাচে কেউ ড্রিবল করতে পারেনি। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে গত মৌসমে ৫৯ ম্যাচ খেলেন ভ্যান ডাইক। গোল করেছেন ৯টি সঙ্গে ৪টি অ্যাসিস্ট। লিভারপুলের হয়ে সবচেয়ে বেশি মিনিট (৪৪৬৫) খেলা খেলোয়াড় ভ্যান ডাইক। সব প্রতিযোগিতায় তিনি ৭২.৪ শতাংশ ডুয়েল ও ৭৭.৩ শতাংশ এরিয়াল জিতেছেন। এর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ৭৬.৩ শতাংশ ডুয়েল জেতেন ভ্যান ডাইক। তাতে অন্য যে কোনো দলের চেয়ে ইপিএলে ২২ গোল কম হজম করে লিভারপুল। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লীগে খেলা অন্য কোনো ডিফেন্ডার ডুয়েল জেতার হিসাবে ভ্যান ডাইকের চেয়ে। ৭২.৯ শতাংশ সাকসেসফুল ডুয়েল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অলিম্পিক লিঁও’র ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো। এরপর রয়েছেন বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ইংলিশ সেন্টারব্যাক হ্যারি ম্যাগুয়ের। লেস্টার সিটির হয়ে গত মৌসুমে তিনি ৭২.৭ শতাংশ ডুয়েল জেতেন।
২০০৬ সালে ইতালি বিশ্বকাপ জেতার পর ব্যালন ডি’অর জেতেন দলের ডিফেন্ডার ফ্যাবিও ক্যানাভারো। এরপর আর কোনো ব্যক্তিগত পুরস্কার জিততে পারেননি ডিফেন্ডাররা। দেখা যাক, ডিফেন্ডারদের আক্ষেপটা ভ্যান ডাইক ঘুচাতে পারেন কি না।