সৌদি আরবের কাছে বিধ্বংসী অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা করছে যুক্তরাষ্ট্র

বিমান হামলার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে তা নিশ্চিত করেছে।

Aug 10, 2024 - 13:58
 0  42
সৌদি আরবের কাছে বিধ্বংসী অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা করছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম দফায় বিমান হামলার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, আমরা নতুন করে সৌদি আরবে অস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছি। ধাপে ধাপে বিদ্যমান অস্ত্র সরবরাহ নীতির আলোকে সৌদি আরবে অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। ২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে হুতিদের উপর ব্যাপক হামলা শুরু হয়। এর জের ধরেই বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় সৌদি সরকারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বাতিল করে। সেই নিষেধাজ্ঞাটিই প্রত্যাহার করার ঘোষণা এসেছে।

মার্কিন প্রশাসন চলতি সপ্তাহে কংগ্রেসে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানায়। কংগ্রেসের একজন অফিস সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন। একটি সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহেই অস্ত্র বিক্রি শুরু হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরব চুক্তির শর্ত মেনে চলেছে। তাই আমরা অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মার্কিন আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অস্ত্র চুক্তি করতে হলে তা কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত করতে হবে। এর আগে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন বিশেষজ্ঞরা সৌদি আরবে বিধ্বংসী অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে তাদের অসন্তোষ জানিয়েছিলেন। তাদের দাবি, ইয়েমেনে আক্রমণ মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে।

তবে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনে সামরিক অভিযানের বিষয়টিও পুনর্বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ বছর ধরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধ বন্ধে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখিয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ বন্ধে তারা তৎপর ছিল। এ সময় মার্কিন উপদেষ্টাদের মধ্যস্থতায় এমনটি সম্ভব হয় মন্তব্য করে তাদের ধন্যবাদ জানায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

এদিকে, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি সরকার এবং হুতিদের মধ্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত ছিল। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে তখন থেকেই ইয়েমেনে সৌদি আরবের বিমান হামলা এবং সীমান্তে হুতি গোষ্ঠীর গোলাগুলির মাত্রা কমে এসেছিল।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow