গরমে মেতে উঠেছে এসির বাজার,যে ধরনের এসি গুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে
সারা দেশেই চলছে দাবদাহ। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র কিনতে।
দেশে কয়েক দিন ধরে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অসহনীয় তাপমাত্রায় স্বস্তি পেতে অনেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কিনতে বৈদ্যুতিক পণ্যের শোরুম বা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। ফলে এসি বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে।
এসি উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে এখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এসি বিক্রি ২০–৩০ শতাংশ বেড়েছে। বাসাবাড়ির জন্যই বেশি এসি কেনা হচ্ছে।
চলতি বছর অনেক বেশি গরম পড়তে পারে, এমন ধারণা আগেই ছিল এসি প্রস্তুতকারকদের। দেশে গত বছর গরমে ব্যাপক চাহিদার কারণে শেষ সময়ে এসির সংকট তৈরি হয়েছিল। তা বিবেচনা করে এ মৌসুমে এসি উৎপাদন বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। যেমন চলতি মৌসুমের জন্য প্রায় ৩০ শতাংশ এসি উৎপাদন বাড়িয়েছে দেশি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ওয়ালটনের এসি পণ্যের উপপ্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা সন্দীপ বিশ্বাস জানান, চলতি বছর তাঁদের প্রায় দুই লাখ ইউনিট এসি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
গত রোজার ঈদের পর থেকেই দেশে তাপমাত্রা মোটামুটি ৩৫ ডিগ্রির ওপরে রয়েছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তাপমাত্রার তীব্রতা বেশি থাকবে। এমন অবস্থায় এসি বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা বিক্রেতাদের। এলিট হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূর এ আলম বলেন, আগামী চার–পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত এসি বেচাকেনা চলবে। তবে লম্বা সময় ধরে দাবদাহ থাকলে এসির চাহিদা আরও বাড়বে; তখন বাজারে এসির কিছুটা সংকটও দেখা দিতে পারে।
What's Your Reaction?