মুস্তাফিজ-রিশাদের বোলিং নৈপুন্যে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
মুস্তাফিজুর রহমান ও স্পিনার রিশাদ হোসেনের বোলিং নৈপুন্যে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করলো বাংলাদেশ। আজ ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষেও জিততে পরাজিত লংকানরা
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলংকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় ওভারেরই পেসার তাসকিন আহমেদের হাত ধরে ম্যাচে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। লংকান ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে (১০) বোল্ড করেন তাসকিন।
সতীর্থকে হারালেও রানের গতি বাড়ান আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। এতে ৫ ওভারেই ৪৮ রান উঠে শ্রীলংকার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। মিড অফে তানজিম হাসান সাকিবকে ক্যাচ দেন ৪ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস।
মারমুখী ব্যাটিংয়ে হাফ-সেঞ্চুরির পথে ছিলেন নিশাঙ্কা। নবম ওভারে দলীয় ৭০ রানে নিশাঙ্কাকে সাজঘরের পথ দেখান মুস্তাফিজ। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ বলে ৪৭ রান করে কভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্তকে ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা।চতুর্থ উইকেটে ৩২ বলে ৩০ রানের জুটিতে শ্রীলংকার রান শতরানে পৌঁছে দেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও চারিথ আসালঙ্কা। ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১০০ রান নিয়ে ভালো অবস্থায় ছিলো লংকানরা। এরপর শ্রীলংকা ইনিংসে ধস নামান স্পিনার রিশাদ হোসেন।
১২৫ রানের লক্ষ্যে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশ দিশা পায় লিটন-হৃদয়ের ৬৩ রানের জুটিতে। এই জুটি যতক্ষণ ছিল তখন নিশ্চিত জয়ের পথেই ছিল তারা। তাদের জুটি ভাঙতেই মোমেন্টাম পেয়ে যায় লঙ্কান দল। ৯১ রানে ৪ উইকেট থেকে ১১৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পড়ে স্নায়ুর চাপে। জেগে উঠে শঙ্কা। শেষ ১২ বলে প্রয়োজন পড়ে ১১ রানের। হাতে দুই উইকেট। তখন ক্রিজে ছিলেন ক্রাইসিস ম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৯তম ওভারে ঠিক প্রথম বলে ছক্কা মেরেই সব চাপ আছড়ে ফেলেন তিনি। তার দৃঢ়তাতেই বাংলাদেশ ১৯তম ওভারের শেষ বলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। তাতে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হলো অসাধারণ এক জয়ে। মাহমুদউল্লাহ ১৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ১৬* রানে।
What's Your Reaction?












