দিল্লিকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে জয়ে ফিরলেন কলকাতা নাইটরা
কলকাতা
পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি গড়েও হারের তিতো স্বাদ পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই হারের আক্ষেপ যেনো দিল্লি ম্যাচে সব উগড়ে দিলো আইয়ার-সল্টরা। নিজেদের নবম ম্যাচে দিল্লিকে সাত উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা।
রোববার (২৯ এপ্রিল) আগে ব্যাট করে কলকাতাকে ১৫৪ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় দিল্লি। জবাব দিতে নেমে ২১ বল এবং সাত উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কলকাতা। এতে এক ম্যাচ পরেই জয়ে ফিরলো শাহরুখ খানের দল।
বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করে টস জিতে ইডেনের ২২ গজে ব্যাট করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক পন্থ। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত মর্যাদা পেল না দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দিল্লির ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ১৫৩ রানে। নয় নম্বরে নেমে কুলদীপ সিংহ ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে দিল্লির অবস্থা আরও করুণ হত। কেকেআরে বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তীদের দাপটে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারায় দিল্লি। পৃথ্বী শ দলে ফিরলেও রানে ফিরতে পারলেন না। তিনি আউট হলেন ১৩ রানে। অন্য ওপেনার বিপজ্জনক জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কও (১২) ব্যর্থ হলেন ইডেনে। ভাল শুরু করেও চেনা ইডেনে বড় রান করতে পারলেন না অভিষেক পোড়েল। ২টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে করলেন ১৫ বলে ১৮। আবার ব্যর্থ সাই হোপ (৬)। ৬৮ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরই লড়াই থেকে কার্যত হারিয়ে যায় সৌরভের দিল্লি।চাপের মুখে দলকে ভরসা দিতে পারলেন না অধিনায়ক পন্থও। তিনি করলেন ২০ বলে ২৭। মারলেন ২টি চার এবং ১টি ছক্কা। অক্ষর পটেল (১৫), ট্রিস্টান স্টাবস (৪), কুমার কুশাগ্ররা (১) আরও চাপ বৃদ্ধি করলেন। কুলদীপকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন রাসিখ সালাম দার। ১০ বলে ৮ রান করলেন জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেটার। শেষে লিজ়াড উইলিয়ামস অপরাজিত থাকলেন ১ রান করে। ২২ গজের অন্য প্রান্তে অপরাজিত থাকা লড়াকু কুলদীপের ব্যাট থেকে এল ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা।
এদিন তিন ব্যাট করতে এসে ইনিংস বড় করতে পারেননি রিঙ্কু সিং। ১১ বলে ১১ রান করেন তিনি। এরপর ভেঙ্কাতিশ আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শ্রেয়াস আইয়ার।
শেষ পর্যন্ত ভেঙ্কাতিশ আইয়ারের ২৩ বলের ২৬ রান এবং শ্রেয়াস আইয়ারের ২৩ বলে ৩৩ রানে ভর করে ২১ বল এবং সাত উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কলকাতা।
What's Your Reaction?