ডিম ও মুরগির বাজার নিয়ে যে দাবিব্যবসায়ীদের
পোল্ট্রি খাত কর্পোরেট সিন্ডিকেটমুক্ত করতে সরকারকে মুরগির বাচ্চার আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম স্থিতিশীল রাখতে মুরগির খাদ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেটা হলে দেশের বাজারে খাদ্যের দাম কমে যাবে, সিন্ডিকেট ভেঙ্গে পড়বে, লাভবান হবেন দেশের প্রান্তিক খামারিরা। একই সঙ্গে খামারিদের সুরক্ষা দিতে ডিম আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, আমদানি করে সাময়িকভাবে ডিমের দাম কমানো গেলেও ভবিষ্যতে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হবে। ডিম আমদানির খবরে অনেক প্রান্তিক খামারি ডিম উৎপাদন থেকে সরে আসছেন।

পোল্ট্রি খাত কর্পোরেট সিন্ডিকেটমুক্ত করতে সরকারকে মুরগির বাচ্চার আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম স্থিতিশীল রাখতে মুরগির খাদ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেটা হলে দেশের বাজারে খাদ্যের দাম কমে যাবে, সিন্ডিকেট ভেঙ্গে পড়বে, লাভবান হবেন দেশের প্রান্তিক খামারিরা।
একই সঙ্গে খামারিদের সুরক্ষা দিতে ডিম আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, আমদানি করে সাময়িকভাবে ডিমের দাম কমানো গেলেও ভবিষ্যতে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হবে। ডিম আমদানির খবরে অনেক প্রান্তিক খামারি ডিম উৎপাদন থেকে সরে আসছেন।
বাংলাদেশের বাজারে এক বস্তা ব্রয়লার ফিডের দাম ৩৫০০ টাকা, ৫০ কেজির এক বস্তা লেয়ার ফিডের দাম ২৯০০ টাকা, একটি ব্রয়লার বাচ্চার দাম ৫০-৬০ টাকা, একটি লেয়ার বাচ্চার দাম ৭০-৭৫ টাকা, বাংলাদেশে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা থেকে ১১ টাকা, বাচ্চার দাম ৩৫ টাকা ধরে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৬৭ টাকা। বাচ্চার দাম বেড়ে গেলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। তাই ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ ডাবল।
সুমন বলেন, পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম কমানো না গেলে কখনোই ডিম ও মুরগির দাম কমবে না। আমদানি করে ডিম ও মুরগির দাম কমাতে চাইলে দেশি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে, আমদানি নির্ভর হতে হবে। পরে ঠিকই বেশি দামে কিনে খেতে হবে অথবা টাকা থাকলেও ডিম ও মুরগি পাওয়া যাবে না। তাই আমদানি বন্ধ করে দেশীয় উৎপাদনকে কীভাবে ধরে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে এবং প্রান্তিক খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে, তাদের বাজার প্রতিযোগিতায় রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ডিমের বাজারে তদারকি হওয়ার ফলে এখন মুরগির বাচ্চার বাজারে লুটপাট শুরু করেছে করপোরেট সিন্ডিকেট। ডিম আমদানি করে সমস্যার সমাধান হবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানির ফলে প্রান্তিক খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছেন।
এতে বাজারে ডিমের তীব্র সংকট তৈরি হতে পারে। আমদানি করে হয়তো সাময়িক সমাধান পাওয়া যাবে; কিন্তু এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম কমাতে হবে। দাম কমাতে বর্তমানে এ খাতে যেসব কোম্পানি আছে, তাদের সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে।
মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার বাজারে করপোরেট সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ কমানো গেলে ক্ষুদ্র খামারিরা সুরক্ষা পাবেন উল্লেখ করে সুমন হাওলাদার বলেন, দেশের লাখো ক্ষুদ্র খামারিদের সুরক্ষা না দিলে ভোক্তাদের আরও বেশি দামে ডিম ও মুরগির মাংস কিনতে হবে। এ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।
What's Your Reaction?






