ডলার সংকট দেশের অর্থনীতিতে বড় বিপদে ফেলছে

সর্বত্রই নগদ ডলারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আগাম বা এলসি ডলারেও একই অবস্থা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় নগদ বা ড্রাফট আকারে ডলার মিলছে না বললেই চলে। এমনকি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের দেনা শোধ করার মতো ডলার জোগান দিতে পারছে না অনেক ব্যাংকই। মানি চেঞ্জারগুলোয়ও নগদ ডলারের তীব্র সংকট। কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারেও ডলার বেচাকেনা একেবারেই কম। সম্প্রতি মানি চেঞ্জারস ও খোলাবাজারে ডলারের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে গোয়েন্দা সংস্থা ও বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) অভিযানের পর বেআইনিভাবে ডলার বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। ফলে বেঁধে দেওয়া দরে কেউ ডলার বিক্রি করছেন না।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে অর্থনীতিতে যে ধরণের সমস্যা রয়েছে তার মূলে রয়েছে মার্কিন ডলারের সংকট। ডলার সংকট ও দর বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এর ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। জিনিসপত্রের বাড়তি ব্যয় মেটাতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ পরিস্থিতি অর্থনীতিকে বিপদে ফেলছে। নীতিনির্ধারকরা দীর্ঘদিন ধরে, ‘অচিরেই’ এর সমাধান হবে বলে আসলেও, সেই ‘অচিরেই’ আর আসছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে জানা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত অগাস্ট মাস শেষে প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অথচ গত বছর এই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় অগাস্ট মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২১.৪৮ শতাংশ।
এমন সময়ে রেমিট্যান্স কমছে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ নিয়ে সংকটের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
What's Your Reaction?






