মাথা ঠান্ডা রেখে সফল হওয়ার আইকন: লিওনেল মেসি
প্রস্তুতিমূলক’ ও ‘কার্যকর সময়’—আপনি যদি ফুটবলকে এই দুই ভাগে ভাগ করেন, তাহলে প্রস্তুতিকেই বেশি প্রাধান্য দেন মেসি। একটা উদাহরণ দিলে পরিষ্কার হবে। ২০১৭ সালে বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়েল মাদ্রিদের সঙ্গে এল ক্লাসিকোর একটি ম্যাচে মাত্র ৪ মিনিট দৌড়েছেন মেসি। বাকি ৮০ মিনিটের বেশি হেঁটেছেন। মজার ব্যাপার হলো, পূর্ণোদ্যমে এই অল্প সময় খেলেই তিনি ৯টি সুযোগ তৈরি করেন, একটি গোল করেন এবং সতীর্থকে একটি গোলে সহায়তাও করেন। এই মডেল মেসির জন্য খুব স্বাভাবিক। বড় ম্যাচের আগে তিনি খেলার প্রস্তুতি পর্বে বেশি মাথা খাটান। প্রকৃতপক্ষে এই প্রস্তুতিই ব্যাখ্যা করে, কীভাবে তিনি বারবার সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় নিজেকে খুঁজে পান। এটা কোনো জাদুবিদ্যা নয়। মিনিটের পর মিনিট, ম্যাচের পর ম্যাচ খেলে তিনি এটি রপ্ত করেছেন। খেলার কোন সময়ে, কোন ডিফেন্ডার তাঁর নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে যান কিংবা দুজন মিডফিল্ডার কখন মাঝমাঠের একটা ছোট্ট অংশ ফাঁকা রাখেন, সব দিকেই নজর রাখেন এই ফুটবল মাস্টারমাইন্ড।
প্রস্তুতিমূলক’ ও ‘কার্যকর সময়’—আপনি যদি ফুটবলকে এই দুই ভাগে ভাগ করেন, তাহলে প্রস্তুতিকেই বেশি প্রাধান্য দেন মেসি। একটা উদাহরণ দিলে পরিষ্কার হবে। ২০১৭ সালে বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়েল মাদ্রিদের সঙ্গে এল ক্লাসিকোর একটি ম্যাচে মাত্র ৪ মিনিট দৌড়েছেন মেসি। বাকি ৮০ মিনিটের বেশি হেঁটেছেন। মজার ব্যাপার হলো, পূর্ণোদ্যমে এই অল্প সময় খেলেই তিনি ৯টি সুযোগ তৈরি করেন, একটি গোল করেন এবং সতীর্থকে একটি গোলে সহায়তাও করেন। এই মডেল মেসির জন্য খুব স্বাভাবিক। বড় ম্যাচের আগে তিনি খেলার প্রস্তুতি পর্বে বেশি মাথা খাটান। প্রকৃতপক্ষে এই প্রস্তুতিই ব্যাখ্যা করে, কীভাবে তিনি বারবার সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় নিজেকে খুঁজে পান। এটা কোনো জাদুবিদ্যা নয়। মিনিটের পর মিনিট, ম্যাচের পর ম্যাচ খেলে তিনি এটি রপ্ত করেছেন। খেলার কোন সময়ে, কোন ডিফেন্ডার তাঁর নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে যান কিংবা দুজন মিডফিল্ডার কখন মাঝমাঠের একটা ছোট্ট অংশ ফাঁকা রাখেন, সব দিকেই নজর রাখেন এই ফুটবল মাস্টারমাইন্ড।
ক্লাব ফুটবলে যা যা অর্জন করার, পেয়েছেন তার সবকিছুই। ব্যক্তিগত অর্জনের স্মারক তো বোধহয় গুনে রাখারও উপায় নেই। কিন্তু তবুও যেন কোথায় একটা অপূর্ণতা কাজ করেই লিওনেল মেসির, বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা যে ছুঁয়ে দেখা হয়নি এখনও! বয়স হয়ে গেছে ৩৫, নিশ্চিতভাবেই এটি তার শেষ বিশ্বকাপ, যা বলেছেন নিজেই। একটি করে ম্যাচ যায় আর লিওনেল মেসিকে বিশ্বকাপে দেখার সময় ফুরিয়ে আসে। প্রতিটি ম্যাচেই এই ভয় নিয়ে শুরু হয় যে এই বুঝি তার বেলা ফুরিয়ে গেল!
‘এমন কারও মধ্যে নেতৃত্ব খোঁজাই অর্থহীন, যে একটা খেলার আগে ২০ বার টয়লেটে যায়,’ এ কথা বলেছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কার সম্পর্কে? লিওনেল মেসি!
আর্জেন্টিনার তখন খুব খারাপ সময় যাচ্ছিল। সবাই বড় আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল মেসির জাদুকরি পায়ের দিকে। কিন্তু একের পর এক ব্যর্থতায় ‘ভিনগ্রহের ফুটবলার’ এতই মুষড়ে পড়েছিলেন যে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন।
আপনি পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড় হতে পারেন। কিন্তু দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ আপনাকেও ভোগাবে। এটাই স্বাভাবিক। উদ্বেগের সঙ্গে কীভাবে লড়াই করেন মেসি? কীভাবে মাথা ঠান্ডা রাখেন? তাঁর আছে নিজস্ব, বিশেষ এক কৌশল।
একটু খোলাসা করে বলা যাক। ৯০ মিনিটের ফুটবলে সাধারণত খেলা শুরুর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই অধিকাংশ ফুটবলার তৎপর হয়ে যান। কোচের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চাপ নিয়ে খেলা শুরু করেন। কিন্তু মেসি এ ক্ষেত্রে আলাদা। খেলা শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক মিনিট একরকম নিষ্ক্রিয় থাকার জন্য তাঁর বিশেষ পরিচিতি আছে। তিনি মাঠে থাকেন ঠিকই, তবে খুব একটা দৌড়ঝাঁপ করেন না। খেলা শুরুর সময় মাঝমাঠে ধীরপায়ে হাঁটেন, প্রায় রক্ষণভাগে নেমে আসেন। সতীর্থদের সঙ্গে খুব একটা জড়ান না৷ অন্যরা যখন প্রাণপণে ছোটেন, মেসি তখনো কিছুটা হেঁটে, কিছুটা জগিংয়ের মতো দৌড়ে সময় কাটান।
What's Your Reaction?