দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে করনীয়
ডেঙ্গু যেন এবার বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ রোগীই এবার দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু কেন ডেঙ্গুতে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে এমন ভয়ানক আকার ধারণ করে?
আগে দেখা যেত জ্বর শুরু হওয়ার ৫-৬ দিন পর রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হতো। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ১ বা ২ দিনের জ্বরের পরেই রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটছে। এতে করে আরও আতঙ্কিত হয়ে উঠছে মানুষ।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০ জন। এদের ৮০ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তির এক থেকে তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে ১৪ শতাংশ ৪-১০ দিনের মধ্যে এবং ৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ১১-৩০ দিনের মধ্যে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে যাওয়াটাই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর একটি বড় কারণ।
এ বিষয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নিয়াতুজ্জামান বলেন, “এর বড় একটি কারণ হলো ডেঙ্গুর যে নতুন উপসর্গ এগুলোর সাথে (মানুষ) অপরিচিত বা তারা এই উপসর্গ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত নন। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তারা যাখন হাসপাতালে পৌঁছাচ্ছেন তখন অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।
সাধারণত ডেঙ্গুর নির্ধারিত কোন চিকিৎসা নেই। তাই মশা থেকে দূরে থাকাই বর্তমানে সবচেয়ে নিরাপদ প্রতিরোধ। সুতরাং বাসাবাড়িতে যেনো মশা ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই সাথে বাড়িতে বা আশেপাশে মশার বংশবৃদ্ধি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এ ছাড়া মশা নির্মূল করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি সচেতন থাকা আবশ্যক। জ্বর হলেই দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে যে ডেঙ্গু কিনা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া সুষম খাদ্যাভ্যাস তৈরির পাশাপাশি ভিটামিস-সি যুক্ত ফল, ডালিম, ডাব, পর্যাপ্ত পানি বা তরল খাবার ও শাক-সবজি খেতে হবে।
What's Your Reaction?